শ্রাবণের স্তব্ধতায়

কোনও এক শ্রাবণের স্তব্ধতায়- জাফরান-রঙের ভিতরে
দাঁড়ায়েছিলাম দূর বারান্দায়- মেঘের প্রাসাদে
সময় করিছে খেলা, দেখিলাম- পৃথিবীর ক্লান্ত চরাচরে
এই দূর মেঘদেশে- মানুষের হৃদয়ের সাধে
বাধা সে দেয় না আর- বৃষ্টি যেন হয়ে গেছে- ক্রমে সন্ধ্যা আসে
তবুও সন্ধ্যার রং কোনও দিন হয় না ক’ গাঢ়
মৃত্যুর মতন সেই মমতায়- ভিজে শান্ত মেঘের আকাশে
মুখে চেয়ে কহিল কে: বলিতে কি পারো
ঢের দূরে আমাদের চোখ যায়- তার পর- তবু- দূর পারে
আমাদের নয়নের সাদা হিম বধিরেরা যেন
ঘোড়া’দের মতো সব কঙ্কালের মতন পাহাড়ে
স্নিগ্ধ হয়ে প’ড়ে থাকে- কহিল সে- কেন?-
চোখ তুলে দু’টো সাদা ডিম দিয়ে তারে আমি দেখিলাম-
এক দিন কোন এক পৃথিবীতে দূরে
যেই সব কথা, গল্প, স্পর্শ, মুখ, অশ্রু, অবয়ব
সাপিনি’র মতো যেন খেলে গেছে- তার সেই রূপ নিয়ে মায়াবী সাপুড়ে
(যেমন বনের কাছে বসে’ থাকে- রোমহর্ষে চিনিলাম সব)
বনের নিকটে যেন দাঁড়ায়েছি- আষাঢ়ের গোধূলির মতন নীরব।