স্থবির ভাবিছে ব’সে

স্থবির ভাবিছে ব’সে বালক-কালের তার দিনগুলো
কেটে গেছে এই বন্দরের থেকে ঢের দূর দিকে থেকে
দ্বিতীয় কোন এক ব্যক্তি এ-শরীরে বাসা বেঁধে ভুলে
স’রে গেছে বাঁ দিকের গলির ভিতর দিয়ে প্রথম সাহসে
উত্তম কর্তব্য নিয়ে মুখে তার- ঢের দিন আগে
পথের দু’ পাশে তার বাবলা’র কঠিন গাছ ছিল-
যত দূর চোখ চ’লে যায়
অনৈতিহাসিক ঘ্রাণ শিশিরের- প্রাগৈতিহাসিক রোদ
পথের প্রত্যন্ত সীমানায় ছোট সূর্যটুকু বরফের মতো সাদা
গৈবি কুয়াশা আলো মাকড়ের জানালার ফাঁক থেকে
(মাকড়ের রেশমের জাল থেকে আলোর কুয়াশা)
খুলির গহ্বর থেকে সুবিশাল আর্য প্রতিধ্বনি
নাই ব’লে- পেয়েছিল পুরস্কার নিসর্গের কাছে
এই সব; তাই এত সহজেই লুপ্ত হয়ে গেল
পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাথে লোষ্ট্রের ভিতরে।