সূর্যের বিশ্বস্ত রং ফুটে আছে

সূর্যের বিশ্বস্ত রং ফুটে আছে পশ্চিম আকাশে
তেমনই রঙের আভা লেগে আছে প্রান্তরের ঘাসে
সঙ্গিনীও রয়ে গেছে আমার কাছেই
তবুও ঘণ্টাটাক তার মুখে কোনও কথা নেই।

আমরা অনেক দূর এসে গেছি প্রান্তরের পারে
প্রান্তর যতটা দূর পারে
তার পর দুই জন মানুষের মন- তবু- একা
পিছনের মাইলস্টোন থেকে কালো লাইনের মতো লঘু রেখা

পৃথিবীর মুখ চোখ এইখানে বিকেলের আলোর ভিতরে
তিন মাইল বাদামি ভূমির মতো যে-সমতল পরিসরে
চুপ ক’রে চেয়ে আছে চারি-দিক থেকে
এখানে খৃস্ট’কে কেউ বিঁধেছিল বিশুদ্ধ পেরেকে

একটি সুদীর্ঘ মেঘ বিকেলের সন্ধ্যার সূর্যের বয়স
পেয়ে গিয়ে স্থির চোখে দেখে যায় মানুষের মুখের সাহস
পৃথিবীর বারান্দায় এক শতাব্দীর লোক- আমাদের মতো
তার দিকে চেয়ে আছে স্বভাববশত

আমাদের (প্রান্তরের) নিস্তব্ধতা অনুভব করে
কোলাহলময় দূর রক্তের নগরে
মেঘের রঙিন মুখে অনন্ত চিন্তার খেলা দেখে
তাহাদের হৃদয়ের থেকে

কার্লেকর সার্কাসের ভাঙা বাঘ উঠে যায় আকাশের দিকে
খুঁজে পায় নিজেদের বিবর্ণ বিড়াল-মাসিটিকে
সোনালি রঙের মেঘে পরজীবী, পরগৃহশায়ী, পরঋণী
আভা তার রেখে দিয়ে রয়ে গেছে কোথায় বাঘিনি।