সূর্যতামসী

কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
কোনও দিকে সমুদ্রের সুর;
কোথাও ভোরের বেলা র’য়ে গেছে- তবে।
অগণন মানুষের মৃত্যু হ’লে- অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়
বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;
এ-কোন্ সিন্ধুর সুর:
মরণের- জীবনের?
এ-কি ভোর?
অনন্ত রাত্রির মতো মনে হয় তবু।
একটি রাত্রির ব্যথা স’য়ে-
সময় কি অবশেষে এ-রকম ভোরবেলা হ’য়ে
আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক’রে জেগে ওঠে।
কোথাও ডানার শব্দ শুনি;
কোনও দিকে সমুদ্রের সুর-
দক্ষিণের দিকে,
উত্তরের দিকে,
পশ্চিমের পানে।
সৃজনের ভয়াবহ মানে-
তবু জীবনের বসন্তের মতন কল্যাণে
সূর্যালোকিত সব সিন্ধু-পাখিদের শব্দ শুনি;
ভোরের বদলে তবু সেইখানে রাত্রিকরোজ্জ্বল
ভিয়েনা, টোকিও, রোম, মিউনিখ- তুমি?
সার্থবাহ, সার্থবাহ, ওই দিকে নীল
সমুদ্রের পরিবর্তে আটলান্টিক চার্টার নিখিল মরুভূমি!
বিলীন হয় না মায়ামৃগ- নিত্য দিকদর্শিন;
অনুভব ক’রে নিয়ে মানুষের ক্লান্ত ইতিহাস
যা জেনেছে- যা শেখেনি-
সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মতো জ্ব’লে
জাগে না কি হে জীবন- হে সাগর-
শকুন্ত-ক্রান্তির কলরোলে।