তাহার মুখের দিকে চেয়ে

তাহার মুখের দিকে চেয়ে যেন মনে হয় পৃথিবীতে তৃপ্তির কারণ যেন ঢের ছিল তার
এ-ধূসর বিছানায় তবুও অতৃপ্তি নাই তার আজ- অন্ধকার নয় যেন খানিকটা নিচু
হলুদ মুখের প্রতি যেন কোনও অভিমান নাই, ছেলে- যেন কোনও ব্যথা জানাবার প্রয়োজন নাই তার কিছু

আলো যেন আলো ছিল- অন্ধকার যেন কোনও পরিচিত দীপ নিভাবার
ডান হাত;- জানে সে সকল কথা স্নিগ্ধ প্রীত চেতনা তাহার
যদিও সে জানে সব: আমরা চলেছি তার মৃত ছোট শরীরের পিছু

আরও জানে,- পৃথিবীতে তত নয় যত এক আমাদের দ্যোতনার বিরচিত দেশে
তাহার অস্ফুট চোখ চেয়ে আছে নতুন জন্তুর মতো যেন এক নবতর বোঝা
পিঠে নিয়ে আধাে-ভালো লাগে তার- (কাহিল আলোয় কারা তাহারে নিয়েছে কাঁধে) পৃথিবীরে চুপে-চুপে খোঁজা

আমাদের মুখে চেয়ে- আমরা যে বিপরীত পথ ধ’রে চলিতেছি জ্যামিতির বিপরীতে
যেন তার শান্ত মুখ বুঝিতেছে- বালকের মতো হাতে আজ এই সন্ধ্যার শীতে
পৃথিবীর গায়ে এক ঢিল ছুঁড়ে ক’রে দিতে চায় সব সোজা

চলো চলো শব নিয়ে জ্যোৎস্নার থেকে দূর অন্ধকারে- অন্ধকার থেকে গাঢ় জ্যোৎস্নার রাতে
শেয়ালের মতো কেঁদে মরে না ক’ কেউ এই পৃথিবীর মহান সভাতে।