তাহার পিছনে ঘুরে

তাহার পিছনে ঘুরে কেটে গেল জীবনের অধিক সময়
তিরস্করিণী বিদ্যা শিখে
কোথায় সে নিতান্তই অপরের (শরীরকে নিয়ে)
চেয়ে আছে আমার এ-হৃদয়ের দিকে
সকালে জলের শব্দ খেলে যায় নদীর ভিতরে
আধো-মুশ্লিম কোনও আকাশের নির্বল মিনারে
মনে হয় সোফিয়ায় চ’লে গেলে এমন সকালে
সময়কে ফাঁকি দিয়ে পাব আমি তারে
এমন নিবৃত অনুভব এই লোকায়ত হৃদয়ের কোণে
সকালের রোদে দেশ ভ’রে গেলে পর
প্রেমিক পেয়েছে ব’লে অনুভব করে
আছে তার প্রেয়সীরও মনের ভিতর
এ-যুগের কাছে কোনও ম্লান অপরাধে দায়ি হয়ে
আমাদের দু’জনার মাঝখানে একটি দেয়াল
দেখা যেত যদি কালো পাথরের মতো-
দশ ফুট ছিলা নিয়ে অনন্ত ব্যাপ্তির চেয়ে বেশি সুরসাল
তবু কোনও ব্যবধান নেই ব’লে সর্বাধিক বেলোয়ারি আলো
প্রকৃত আলোর মতো মনে ক’রে নিয়ে
মাঝে-মাঝে প্রতিভাত হত ব’লে সাত-শো বছর হেঁটে আমি
ত্রয়োদশ শতকের ভোরে আজও রয়েছি দাঁড়িয়ে।