কেবলই সে দূরে চ’লে যেতেছিল-
টিফিনকে অবসর মনে ক’রে অনন্তের মতো
রুমালে দু’-তিন স্লাইস পাউরুটি- একটি কমলালেবু-
চামচ-তিনেক নুন নিয়ে
সিন্ধুর সৈকতে গিয়ে যাওয়া যাবে কোনও দিকে- মানুষের শরীর হারিয়ে
পৃথিবীকে বিবেচনা করা যাবে- দু’ মুহূর্ত- নীরবে অন্তত
কবেকার পতঞ্জলি থেকে আজ পাভলোভ- মার্ক্স, মোনে, মানে
যেমন এ-মানবের দ্যোতনাকে বুঝে গেছে তা থেকে রঙিন
অনন্য রহস্য এক রয়ে গেছে-
যেমন হাড়ের থেকে বার হয় চাঁছা বডকিন
গোলাপি, ফিরোজা, ফিকে, নীল, লাল উলের সন্ধানে-
আমাদের মৃত্যু তা-ই, আমাদের জীবন্মৃত্যু সে-রকম প্যাটার্নের পিছে
কেবলই ঘুরিতে আছে।- কোথাও সমুদ্র নাই-
মাথার উপরে ঊর্ণাজাল
দুই স্লাইস রুটি তার চুরি ক’রে নিয়ে গেছে বাদামি বিড়াল
সে-সব ইতর কথা; চিন্তা তার পাক খেয়ে ম’রে গেল মিছে
কেননা আবার ঘণ্টা বেজে গেছে অফিসের অত্যুক্ত প্রাসাদে
সিলিঙেও ঢের ভূত আজীবন ফাইল নেড়ে- কলম চালায়
একটোপ্লাজমে আজও তাহাদের সব-চেয়ে বৃহত্তম
সাম্রাজ্যের দায়
তবুও সূর্যাস্ত আছে এই স্বতঃসিদ্ধতাকে বিনয়েশ স্বর্ণকার বাদে
এই সব অগণন কেরানি ও তাহাদের অনর্গল পিতৃপুরুষ
কোনও দিন জানে নাই- এক দিন তাহাদের প্রাণে
কোনও কথা ভেবে চ’লে গিয়েছিল পতঞ্জলি, মার্ক্স, মোনে, মানে
হয়তো কিউই দিয়ে ক’রে যাবে কেম্বিসের জুতোকে বুরুশ
ভেবে নিয়ে বিনয়েশ হেসে উঠে কাঁটা দিল আধো-তিক্ততায়…
কান থেকে কানে হাসি টেনে নিয়ে সকলকে প্রেম
দিতে গিয়ে টের পেল- এ-পৃথিবী অপরের গচ্ছিত হারেম
ব্যভিচার ছাড়া কোনও মানুষকে হাতে পাওয়া দায়।