টাইটানের মতো তারা

টাইটানের মতো তারা;- টাইটান্ মায়ের মতো হে তুমি সাগর,
প্রথম সে- পৃথিবীর প্রথম সে- আকাশের নক্ষত্রের মাঝখানে এসে
সেইদিন দাঁড়ায়েছ,- টাইটান্ মায়ের মতো- টাইটান্ সন্তান ভালোবেসে
বিস্তৃত ফেনার জটা এলায়েছ চরে-চরে তাহাদের শরীরের ‘পর!
গ্রীসের পাহাড় সব,- কালো কুয়াশায় ভিজা পর্বতের দেওদার শাখা-
কাঁপিয়া উঠেছে তাই;- পিছনে রয়েছে প’ড়ে তাহাদের এথেন্স- ইথাকা!
পুরোনো বনের গন্ধ- পুরোনো সিন্ধুর গন্ধ ভরা এক মৃত পৃথিবীতে
তোমার জরায়ু থেকে হে সমুদ্র, সেইসব সন্তানের জন্ম তুমি দিতে!
সন্ধ্যার পাখিরে তুমি দিয়েছিলে হে সমিদ্র, সিন্ধুর পাখির মতো পাখা-!

শীতল সমুদ্র ছেড়ে, পাহাড়ের শীত হাওয়া পিছে ফেলে রেখে
এলায়ে দিছিল ডানা তাই তারা আরও গাঢ় সমুদ্রের দিকে!-
যেখানে সূর্যের আলো স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে সমুদ্রের ফেনার স্ফটিকে,
যেখানে মেঘের ফেনা সমুদ্রের মতো নীল আকাশেরে রাখিতেছে ঢেকে,
আফ্রিকার কাছাকাছি- হয়তো-বা সমতল এশিয়ার পারাপারে এসে
দুরন্ত সাগরে দূরে সমুদ্র-চিলের মতো সেদিন গেছিল তারা ভেসে!
‘লেসবিয়ান প্রোমোন্টরি’ পিছে ফেলে,- পিছনের হতাশা-কান্নার স্বর
ভুলে গিয়ে,- অন্য এক সমুদ্রের কুহকের বুকে তারা করেছে নির্ভর
সেইদিন;- সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢুকে কৌতূহলে নামিয়াছে পাতালের দেশে-!