তবু তাহা ভুল জানি

তবু তাহা ভুল জানি… রাজবল্লভের কীর্তি ভাঙে কীর্তিনাশা:
তবুও পদ্মার রূপ একুশরত্নের চেয়ে আরও ঢের গাঢ়-
আরও ঢের প্রাণ তার, বেগ তার, আরও ঢের জল, জল আরও;
তোমারও পৃথিবী পথ; নক্ষত্রের সাথে তুমি খেলিতেছ পাশা:
শঙ্খমালা নয় শুধু: অনুরাধা রোহিণীরও চাও ভালোবাসা,
না জানি সে কত আশা- কত ভালোবাসা তুমি বাসিতে যে পার!
এখানে নদীর ধারে বাসমতী ধানগুলো ঝরিছে আবারও;
প্রান্তরের কুয়াশায় এইখানে বাদুড়ের যাওয়া আর আসা-

এসেছে সন্ধ্যার কাক ঘরে ফিরে,- দাঁড়ায়ে রয়েছে জীর্ণ মঠ,
মাঠের আঁধার পথে শিশু কাঁদে- লালপেড়ে পুরোনো শাড়ির
ছবিটি মুছিয়া যায় ধীরে-ধীরে- কে এসেছে আমার নিকট?
‘কার শিশু? বলো তুমি’: শুধালাম; উত্তর দিল না কিছু বট;
কেউ নাই কোনওদিকে- মাঠে পথে কুয়াশার ভিড়;
তোমারে শুধাই কবি: ‘তুমিও কি জানো কিছু এই শিশুটির’।