তখন অনেক রাতে

তখন অনেক রাতে শহরের উঁচু থামগুলো
মাথায় পিঙ্গল মেঘ তুলে নিয়ে ইতস্তত নীরবে দাঁড়ায়ে
চ’লে যেতেছিল- তবু- যে যাহার নিয়মিত অন্ধকার স্থানে
স্থির ছিল; (সে কোন শহর আজ এত দিন পরে
মনে নেই)। চারি-দিকে মানুষের হাতে ছাড়া আলো
নিরস্ত হতেছে দেখে মেঘের কিনার থেকে চাঁদ
নদীকে উজ্জ্বল ক’রে দিতে এসে সম্রাজ্ঞীর জলের গেলাসে
আধ-ফুটে ধরা প’ড়ে স্থির হল- এমনই নিবিড়
নিস্তব্ধতা, শান্তি, ঘুম- থামের ভিতর থেকে ছায়া
সহসা পিপুল-গাছ হয়ে খুলে গেলে তার পেঁচা
শিশিরের নীড় থেকে উচ্চারণ ক’রে যেত ‘প্রেম,
ঘুমের সততা, সাধু আলোককিরণ- এক মোমের মতন
ধমনি সবের তরে- শতাব্দীর নির্দেশে মরণ।’