তোমাদের বৃত্তের ভিতর

তোমাদের বৃত্তের ভিতর থেকে হে সব নিভৃত, অমায়িক,
তিন জন- দুই জন- এমন বায়ুর প্রেরণাহীন রাতে
আবার আমার সাথে দেখা পায় যদি-
তরোয়াল-আড়াআড়ি ক’রে চ’লে শূন্যের ভিতরে হাওয়া
হেসে যায় তার পর হাতে হাত ধ’রে। পর্বতেরা মনীষীর কাছে চ’লে আসে।
তা হলে করুণ এই পৃথিবীর বিবেচনাঅধীন আলোয়
মিছে কেন দেশলাই জ্বালাব আমরা
আবার আশ্চর্য সব স্তম্ভ ভেঙে দিতে
তাহারা দাঁড়ায়ে থাক- যদিও তাদের সৃষ্ট ছায়া
আমাদের গেলাসের নীরে নেই। কোথাও জ্যোৎস্না-রাতে পেঁচা স্থির হিম
পেড়ে যায়। শিশিরের মুখে ঘেঁষে প’ড়ে থাকে নিরুত্তর
অমল- মসৃণ। প্রান্তরের জ্যোৎস্না সেই ক্ষুদ্র রূপ অনুভব ক’রে
শান্তি পায়; এই সব শব্দহীন পারম্পর্য র’য়ে গেছে পৃথিবীতে
যদিও আমরা সব ধুলো হয়ে মিশে যাই এক-দিন
মার্লিন-মায়াবীর মতো আর চাই না বাজাতে
কারু কোনও কঙ্কাল- তবু যাহা ধ্বনিত হবার তাহা ধ্বনি হয়
শুভ্র হয়- বিহিত গরিমা পায় যারা সব গরিমা পাবার
সুগোল টেবিল ঘিরে এক-আধটি অমায়িক রূপসির রোল বলে:
আমার আয়ুর থেকে জেগে উঠে আজ এই রাতে
নির্মল ডিমের মতো এই স্বপ্ন- যদিও নেউল
কখনও সারাংশ তার খেয়ে যায়-

করতালি বেজে ওঠে মুখোমুখি গ্যাজেবো’র
চারি-দিকে লালায়িত অন্ধকারে প্রাসাদের ধবল পাথর, আভা
নিরাময় যুগের প্রতীক সব। অনেক আশ্চর্য স্তম্ভ বানায়েছে ময়
সম্রাটের ভাঁড়ের মতন এসে যে-বাতাস
মাটির উপরে ঠেলে ফেলে দিত মাথার শিরোপা খুলে
চুলের মাথাকে অবিকল।
বহু দিন ব্যবহৃত হয়ে কোনও জানুহীন উপমার মতো
বাতাস সে-সব ক্ষোভ হারায়ে ফেলেছে বহু দিন।