তোমাদের হৃদয় পাথর হবে

তোমাদের হৃদয় পাথর হবে
পৃথিবীর কোনও এক ব্যবহার ফুরায় না ব’লে?
দুই দিকে হয়তো-বা- খল অন্ধকার
মাঝখানে দীর্ঘ এক স্মরণীয় দিন
হাঁসের পালকে- সূর্যে চলিতেছে জ্ব’লে
কামানের ক্রোধে- হাড়গিলাদের দীর্ণ কলরবে
মানবীর গর্ভ থেকে জন্মিবে নবীন
নচিকেতা হয়তো-বা আর এক বার
সে-দিন শমন তবু হয়ে যাবে আরও সমীচীন
বালকের কথা আর শুনিবে না-পৃথিবীর শেষ
প্রাণপিণ্ড- শ্লেষ্মা আর শ্লেষ
তুলে লবে আধাে-সন্দিহান এক বিষয়ীর মতো
বলিবে: ‘অমৃতে, দেখো, পড়িতেছে গ’লে
দুই দিকে- হয়তো-বা অন্ধকার- নচিকেতা
মাঝখানে দীর্ঘ এক স্মরণীয় দিন
আরণ্যক ফেলে রেখে জননীও লুণ্ঠনে রঙিন
বুকের ভাগাড়ে তার শিশুদের অপমৃত্যু গিলে
ঐ দূর পৃথিবীর আশ্চর্য প্রদেশে
অমৃতের ভাণ্ড আর দেবে না ক’ ধুন্ধুমার চিল
সেই সব ভাঁড় যদি এইখানে না দাঁড়ায় এসে।’
এত ব’লে শমন দাঁড়াল সেই অন্ধকার ফেঁড়ে
এক-রাশ মশা ঝেড়ে- (বিরক্ত সিংহের মতো হেসে)
বিরক্ত সিংহের মতো ভীষণ লাঙ্গুল-সাবলীল।