তোমার প্রশান্ত অহমিকা

সম্পূর্ণ রয়েছে আজও তোমার প্রশান্ত অহমিকা
পিতৃপুরুষের সেই প্রাসাদের ঘনিমার থেকে
তারে তুমি ধূম্রতর হতে দেখ নাই
রাজপথ থেকে চেয়ে দেখেছে অনেকে
মস্তিষ্কের কৃমিদের শান্ত ক’রে ক্রমে
আমিও দেখেছি সেই মিনারের বেরিন-মণির মতো বিভা
দুপুরের মেঘ যেন পেয়ে গেল অধিক ধবলতর রুচির প্রতিভা

বিকেলের সঙ্গমে- আজ এই পৃথিবীর বিকেলের।
আমাদের এই সব শীর্ণ আলোচনা
মিনারের সাদা, বড়ো বিহঙ্গের তরে নয় কিছু
কোথাও নিসর্গ যেন নেড়েছিল ঢের দিন দূর মধ্যসমুদ্রের ফেনা
তাই তুমি আহরিত হয়ে এলে এই সৌর নীরবতা নিয়ে
আমিও কলম রেখে মনীষীর মতো অবহিত-
বিংশতি মশার তর্কে টেবিলের প্রদীপ নিভিয়ে।