তোমরা স্বপ্নের হাতে (সংযোজিত)

তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও- আকাশের রৌদ্র ধুলো ধোঁয়া থেকে স’রে
এইখানে চ’লে এসো; পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন তোমাদের কথা
শুনিয়াছি- তোমাদের ম্লান মুখ দেখিয়াছি- তোমাদের ক্লান্ত রক্তাক্ততা
দেখিয়াছি কত দিন- ব্যথিত ধানের মতো বুক থেকে পড়িতেছে ঝ’রে
তোমাদের আশা শান্তি, ম্লান মেঘে সোনালি চিলের মতো কলরব ক’রে
মিছে কেন ফেরো, আহা- পৃথিবীর পথ থেকে হে বিষণ্ন, হে ক্লান্ত জনতা
তোমরা স্বপ্নের ঘরে চ’লে এসো- এখানে মুছিয়া যাবে হৃদয়ের ব্যথা
সন্ধ্যার বকের মতো চ’লে এসো ধূসর স্তনের মতো শান্ত পথ ধ’রে।

চারি দিকে রাত্রিদিন কলরব ক’রে যায় দাঁড়কাক বাদুড়ের মতো
পৃথিবীর পথে ঐ- সেখানে কি ক’রে তবে শান্তি পাবে মানুষ বলো তো?
এখানে গোধূলি নষ্ট হয় না ক’ কোনও দিন;- কয়লার মতো রঙ-ম্লান
পশ্চিমের মেঘে ঐ লেগে আছে চিরদিন; কড়ির মতন সাদা করুণ উঠান
প’ড়ে আছে চিরকাল; গোধূলি নদীর জলে রূপসীর মতো মুখখানা দেখে
ধীরে-ধীরে- আরও ধীরে, শান্তি ঝরে, স্বপ্ন ঝরে আকাশের থেকে।

‘রূপসী-বাংলা’ খাতা
প্রকাশ: ১৯৮৪