তত দিনে অন্ধকারে

তত দিনে অন্ধকারে দাঁড়ায়েছি শেষ, নিঃস্ব প্রতিরোধ জমা ক’রে চোয়ালের হাড়ে
কারু সাথে যুক্ত হাতে; বাম হাত দক্ষিণকে রেখেছে আবদ্ধ বামাচারে।
সঞ্চয় করেছি শক্তি আমি শুধু জানুর ভিতরে
ডান হাতে ভুরু ঢেকে চির-দিন দেখে গেছি, হে সূর্য, তোমারে
যখন দেখার কোনও অবকাশ হয়েছিল পৃথিবীর পথে
মনে হয়েছিল আমি তিলের মতন এক স্থাণু হয়ে সৌরপরিবারে
আমিও ঘুরিতে আছি। আমাকে ভেবেছি তবু নামরূপ প্রচলিত মানবকদের
করুণার অবতার ব’লে আমি ভেবে গেছি হৃদয়কে- কমনীয়তায়
কাকের চক্ষুর মতো পরিষ্কার দৃষ্টি নিয়ে এসেছিল যারা
জীবনকে কেটে গেছে কাঁচের উজ্জ্বল চেতনায়।

উরুর ভিতরে তবু অগ্নি যেন সমর্থিত হল শুধু- যেন সিংহ এসে
আমি ধরা প’ড়ে গেলে- আমার হৃদয় ছুঁড়ে কৃকলাসদের দিকে- নিরুদ্দেশে
জঙ্ঘা খাবে- জানু খাবে-। আমি কি ভেবেছি আজ সময়কে মেধাবিনী মহিলার মতো
কখনও-বা কালনেমি টেনে নেয় কী যেন কী ভেবে
কুয়াশার গুঁড়ি হয়ে ছিঁড়ে পড়ে মুখে তার- রাজমুণ্ড, গজদন্ত, কুসীদবিলাসী
গণপতি- পুরোহিত- শেয়াল- শ্যালক- শনি- ধন্বন্তরি তবু এই মহিলাকে নেবে?
অগ্নির অক্ষরে তবু লেখা আছে মৃৎকার্পাসের মতো স্থির- স্থির- সাদা ফলকের ‘পরে
প্রসিদ্ধ ত্রিকোণ টুপি এঁটে যদি কোনও এক অগ্নিমান্দ্যবিরহিত ভাঁড়
বিলোপ জেনেও তবু অন্তঃসত্ত্বা ক’রে যায় কল্কি’র অজ্ঞাত প্রসূতিকে
তবে সেই শঙ্খচূড় পেয়ে যাবে ময়ূরীর চুম্বনের গাঢ় অন্তঃসার।