ট্রামের লাইনের পথ

ট্রামের লাইনের পথ ধ’রে হাঁটি: এখন গভীর রাত
কবেকার কোন সে-জীবন যেন টিটকারি দিয়ে যায়
‘তুমি যেন বুকভাঙা ট্রাম এক, ডিপো নাই- মজুরির প্রয়োজন নাই
কখন এমন হলে, হায়!’
আকাশে নক্ষত্রের পিছে অন্ধকারে
কবেকার কোন সে-জীবন ডুবে যায়।

কোন দিকে যেতে হবে? নিস্তব্ধ শহর কিছু জানে না ক’
সে শুধু বিছায়ে আছে
বিশ্বাসীর বিধাতার মতো।

কোলে তার মুখ রাখি- বিশ্বাস করিতে চাই- তবু মনে হয়
শহরের পথ ছেড়ে কোনও দিকে হেঁটে যদি চ’লে যেত আমার হৃদয়।

অজস্র গ্যাসের আলো গ্যাসের আলোর পিছে ডাকে
বিমর্ষ গলির ফাঁকে-ফাঁকে
আঁধারের কাতর আকুতি এসে ডেকে লয়
তাহাদের চিনি আমি- তারাও আমার মতো: সব জানে
তাই এত অন্ধকার- ক্লান্ত- হিম
এই গলিগুলো।

তবু তারা পথ চলে না ক’-
ঘুমের গভীরে ডুবে নক্ষত্রের তলে এক অবসর পায় তারা
আমারে কে অবকাশ দেবে?
স্কোয়ারে ঘুমায় যারা নগ্ন হয়ে শীতরাতে কিম্বা ফুটপাথে
তাহাদের মতো ক’রে কথা কে ভুলিতে দেবে?
কথা কে ভুলিতে দেবে? আমারে ভুলিতে দেবে কথা?
গ্যাসের আলোর নদী অবিরল-
এঁকে-বেঁকে গিয়ে শেষে কোন পথে কোনও অভিজ্ঞতা
জাগাতে যাবে না আর?