তুমি এই অন্ধকারে

চীন-পরিব্রাজকের মতো তুমি এই অন্ধকারে
যখন নেমেছ আর কে ঠেকাতে পারে
তোমার শরীরে যেই বস্ত্র আছে- গোবি’র বাতাসে
বস্ত্রহীনতার মতো আরও লঘু হয়ে আসে
হাতে দেবদারু-লাঠি- যেন মৃত জিন
বায়ুর ভিতর থেকে লগুড়ের দীর্ঘ- সমীচীন
ছায়া দেখে উৎসাহিত হয়ে নেমে এসে
পুনরায় মুহূর্তেই তোমার নির্দেশে
ছাগলছানা’র মতো (আধো-ভীত) দ্রুতগতি খুরে
বালির কুণ্ডলী হয়ে চ’লে যায় উড়ে

এখন আকাশে চাঁদ এই বড়ো কুমারীর স্তন
নিস্তব্ধতা শিশিরের শব্দের মতন
রমণী কোথাও এক রয়ে গেছে বুঝে
বাতাস অনন্ত মাইল অববাহিকার পথ খুঁজে
দূর থেকে শব্দ ক’রে চ’লে যায় ধীরে
যাত্রী ম’রে গেলে তার চাদরের মতন শরীরে
ভেসে যায়- বালির উপরে ছায়া ফেলে
কোনও এক অকাতর মানুষকে দৃষ্টিপথে পেলে
তাহার হৃদয়ে কত রক্ত আছে- অনুভব ক’রে।

তোমাকে সহসা দেখে তবু সেই বাতাসের রূপ
সজারু-কাটার মতো ফুটে উঠে চুপ
হয়ে থাকে- যেন সে দুয়ারে এসে ঠেলা দিতে গিয়ে
দারুচিনি-কাঠে গড়া দুয়ারের মতন দাঁড়িয়ে
রয়ে গেছে- কোথায় কক্ষের শুরু- প্রকোষ্ঠের শেষ
জানে না সে- এমনই গভীর তার মনের আবেশ
যেন সে বাতাস- তবু বাতাসের ঘায়ে
দারুচিনি-ঘন গন্ধে নিতেছে ঘুরায়ে
আপনার দীর্ঘতাকে- দুগ্ধ খেয়ে স্বর্গীয় হাতির
হয়ে গেছে পাথরের চেয়ে আরও স্থির।