তুমি কেন বহু দূরে

তুমি কেন বহু দূরে- ঢের দূর- আরও দূরে- নক্ষত্রের অস্পষ্ট আকাশ,
তুমি কেন কোনও দিন পৃথিবীর ভিড়ে এসে বলো না ক’ একটিও কথা;
আমরা মিনার গড়ি- ভেঙে পড়ে দু’-দিনেই- স্বপনের ডানা ছিঁড়ে ব্যথা
রক্ত হয়ে ঝরে শুধু এইখানে- ক্ষুধা হয়ে ব্যথা দেয়- নীল নাভিশ্বাস
ফেনায়ে তুলিছে শুধু পৃথিবীতে পিরামিড-যুগ থেকে আজও বারোমাস;
আমাদের সত্য, আহা, রক্ত হয়ে ঝরে শুধু- আমাদের প্রাণের মমতা
ফড়িঙের ডানা নিয়ে ওড়ে, আহা: চেয়ে দেখে অন্ধকার কঠিন ক্ষমতা
ক্ষমাহীন- বার-বার পথ আটকায়ে ফেলে- বার-বার করে তারে গ্রাস;

তারপর চোখ তুলে দেখি ঐ কোন্ দূর নক্ষত্রের ক্লান্ত আয়োজন
ক্লান্তিরে ভুলিতে বলে- ঘিয়ের সোনার দীপে লাল নীল শিখা
জ্বলিতেছে যেন দূর রহস্যের কুয়াশায়,- আবার স্বপ্নের গন্ধে মন
কেঁদে ওঠে- তবু জানি আমাদের স্বপ্ন হতে অশ্রু ক্লান্তি রক্তের কণিকা
ঝরে শুধু- স্বপ্ন কি দেখে নি বুদ্ধ- নিউসিডিয়ায় ব’সে দেখে নি মণিকা?
স্বপ্ন কি দেখে নি রোম, এশিরিয়া, উজ্জয়িনী, গৌড়-বাংলা, দিল্লী, বেবিলন?