একটি রূপকথা

‘মনে হচ্ছে ঘুমপাড়ানি গান’
‘মনে হচ্ছে ভ্রমরগুঞ্জন’

অন্ধকার কতরকম পাঠ
জলের ধারে ঘুমোয় কাশবন

কেউ দেখেছে চোরাচালান, লাশ
কেউ দেখেছে জ্যোৎস্নাভরা মাঠ
মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে আছে ধান
কোন কালের ভাঙা এক্কাগাড়ি

উই ধরেছে, ঘাস উঠেছে গায়ে
যাত্রী কই? কোথায় কোচোয়ান?

ঘাসের উপর গয়নাপরা মেয়ে
মেয়ের গায়ে জন্মে গেছে ঘাস

ও কার গাড়ি? ও কার ভাঙা বাড়ি?
নদীর ধারে কাদের ও শ্মশান?

ওই মেয়েটি দুতিন শতক আগে
ওখানে ওই চিতায় আধপোড়া

ভাঙাবাড়ির পোড়া দরজা ঠেলে
বেরিয়ে আসে আগুনজ্বলা ঘোড়া

দাউদাউ সে লাফায় নদী জলে
সাঁতার কেটে নিমেষে নদীপার

পিঠের ওপর ঘাসের মেয়ে বসে
সকল ঘাস হয়েছে অঙ্গার

সন্ধেবেলা এমন উপকথা
অন্ধকার নিয়ম করে পড়ে

ঘোড়ার হ্রেষা, মেয়ের চিৎকার
দুইশতক তিনশতক পরে

আবছা হয়ে আসেও, মিলেমিশে
মনেই হবে ঘুমপাড়ানি গান
মনেই হবে ভ্রমরগুঞ্জন

অন্ধকার লুকিয়ে নেবে পাঠ
জলের ধারে ঘুমোবে কাশবন।