আমাদের বাড়ি

যত রাজ্যের পাগল এখানে জোটে
লাফিয়ে লাফিয়ে গাছ থেকে চাঁদ পাড়া
কপালে কপালে আটকানো শুকতারা
যত মিথুক এ বাড়িতে এসে ওঠে

বারান্দাটাকে খুলে নিয়ে নাকি জলে
নৌকো বানাবে! ঘর দুটো চুড়োগাছে
তুলে দিয়ে বলে, ‘কোনো আপত্তি আছে
অরণ্যদেব খেতে আসছেন ব’লে?…’

অরণ্যদেব? বললেই বুঝি হল!
হল কি? হয়েছে। ওই দ্যাখো, চোখ খোলো;
আরে সত্যিই! এ বাড়িটা গাছবাড়ি
মাটি কত নীচে, দু’ দিকে পাতার সারি
জানলায় ঝুঁকে হৈ হৈ করে ওরা
অরণ্যদেব নীচে বাঁধছেন ঘোড়া
পরমুহুর্তে জঙ্গল নেই আর
দিগন্ত ছোঁয়া নীল রঙ পারাপার
সাগর না হ্রদ? কাস্পিয়ানের জলে
বারান্দাটাই নৌকোর মতো চলে…
চলুক চলুক, গরীবের সংসারে
জুটুক যেকটা পাগল জুটতে পারে

এসো উদ্ভট, যা ইচ্ছে, আজগুবি
নাড়াও তাহলে নৌকো, আমরা ডুবি!