ঘরে ঘরে এত অগ্নি

ঘরে ঘরে এত অগ্নিসংযোগ করেছি চুপিসাড়ে
পাত্রে পাত্রে মিশিয়েছি এত এত বিষ নির্বিকার
তাড়া করে গেছি এত, মেরেছি পিছন থেকে ঘাড়ে
গড়েছি নগর থেকে গ্রামে এই দাসের পাহাড়
লুকিয়ে ফিরেছি কত পিঠে নিয়ে মুমূর্ষ বন্ধুকে
রাজার পশ্চাৎ থেকে সরিয়ে নিয়েছি সিংহাসন
উড়িয়ে দিয়েছি ব্রিজ, ভয় পাইনি কামানে বন্দুকে
ট্যাঙ্কের পিছনে ট্যাঙ্ক, নীচে আমরা, প্রেমিক-প্রেমিকা, ভাইবোন
পিষে গেছি মিশে গেছি ভাঙা বাড়ি ইটকাঠ-গুঁড়োয়
মাইনে স্পিলন্টারে ছিটকে পড়েছি ধানক্ষেত থেকে জলে
ঝড়ে উড়ে যাব আর ঝড়কে উড়িয়ে দেব বলে
আর অন্য কারণে না, আর অন্য উদ্দেশ্য ছিল না
কিন্তু আমাদের হাত, আমাদের হাড় থেকে সোনা
আর কেউ খুবলে নিল, আর কেউ প্রমোদ তরণী
বানাল, অথচ তুমি বেলা থাকতে লক্ষই করনি!
একদিন বারুদঘরে আগুন দিয়েছিলাম কেন?
একদিন আমার হাত ছিড়ে শূন্যে উঠেছিল কেন?
একদিন তোমার দেহ তালগোল পাকিয়ে কেন শব?
এখন ধুলোর পথে ধুলোমাটিকাদা হয়ে থেকে
মর্মে মর্মে বুঝে দেখি আর কোনো কারণ ছিল না
এগিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন এগোতে হবে তাই
আজ সেই যাত্রাপথে ছাইমাত্র ওড়ে আর সেই ছাই গায়ে মেখে আসে
বিশ্বাস ভাঙার বন্ধু, ভাইকে পিছন থেকে ছুরি মারা ভাই!