মা আর উন্মাদপুত্র

অন্ধকার পরমহংস, লতাপাতায় ঢাকা,
দীঘির ধারে পরমহংস, দীঘি বনের পাড়ে
গাছের নীচে বাড়িটি কত আড়াল দিয়ে রাখা
বনের ছাদে দাঁড়িয়ে কেউ উঁকি দিতেও পারে

অন্ধকার পরমহংস, শ্যাওলাভেজা পাখা
মগজে লাল ধুলোর স্তুপ, নিঃশ্বাসেও বালি
ওড়াও নেই সাঁতারও নেই মাটি কিংবা টাকা
দীঘির ধারে আপন মনে শ্লোক বলছে খালি

অহোরাত্র দিবসনিশি সুর্যচাঁদ ঘিরে
পাক খাচ্ছে দীঘি ও বন, দীঘির ধারে বাড়ি

বাসিন্দা তো মা আর ছেলে, মায়ের ছেড়া নাড়ি
ছেলের এখন প্রৌঢ় বয়স, চাঁদ পড়েছে শিরে

চাঁদ পড়েছে, ফেটেও গ্যাছে, মগজ ধুলো ঢাকা
মা রাঁধছেন সন্ধেবেলা, শাকের দিকে ফিরে
মা শুতে যান ঠাকুরঘরে-
তক্তপোষ ফাঁকা!
ছেলে কোথায়? ছেলে কোথায়?
গাছপালার ভিড়ে

জোনাক জ্বলে থোকায় থোকায়, রাত্রি চলে ধীরে
লণ্ঠনের আলোয় এই বাড়িটি পায় পাখা
উড়ে বেড়ায় আকাশে তার ডানায় তারা ঢাকা

ঘুম আসেনি, মা শুয়েছেন মেঝেয় পাশ ফিরে

মাথা খারাপ পরমহংস একা দীঘির তীরে…