সীমন্তে বিদ্যুৎ

যে-গাথা কবিতাময় মেঘ তার সীমন্তে বিদ্যুৎ…

যে-জ্ঞান তর্জনী তুলে শাসায় সে-হস্তী যায় পাঁকে।
যে-নাসা অত্যুচ্চ, যে-পা মাটিতে পড়ে না, শূন্যে থাকে,
যে-চক্ষু সন্ধান করে ক্রটিসূত্র, ফাঁকফোকর, খুঁত-

সে-চোখে সংবৎসর অশ্রুর বদলে ঝরে কাদা
সে-নাসা সন্দেহ গন্ধে বনে বনে ফেরে সবসময়
সেইসব পদভার কাঁটায় কাঁকরে ধন্য নয়

তোমার আমার পায়ে যাত্রাক্ষত, কষ্টে ক্ষত বাঁধা

তাতে অনুতাপ? কেন? চলতে গেলে ক্ষত বাঁধতে হয়
যে-ক্ষত কবিতাময় মেঘ সে সীমান্তহারা জয়!