শ্রম

রাত্রি জেগে শ্রমকাল উদযাপন, দিন জেগে মহীরুহ রোপণ-উৎপাটন
মোহর সন্ধান করে ল্যাল্যা হয়ে ঘোরা এবে স্থগিত, মুলতুবি, লক আউট!
মোহ বলতে মহিলার রঙ, মনে বিচ্ছুরণ, জিহ্বাকে রক্তাক্ত করা উট…
নিশিজাগরুক ব্ৰত ঘুমে ঢলে ঢলে পড়ছে, স্বপ্নে শিক্ষকতা করো পঠন-পাঠন!
শ্রমের সীমানা শ্রান্তি; কল্যাণ, শ্রীবৃদ্ধি, ঘট, ঘটে গাছ বসানো-ওঠানো
তা-ই বৃক্ষকল্প, তা-ই দুদিনের কলাবউ, অল্প একটু বিশল্যকরণী
তা-ই সই, ‘মা গো দুটো ভিকে দেবে?’ ‘ভিকে? উঃ! ছাই দেবে!’
‘তা-ই দাও, হাত আসুক, মণি,
সাপের মাথায় উঠে নাচো মা ঠাকরেণ, তাকে সাক্ষাৎ, জাগ্রত ব’লে মানো’

দিন জাগলে মহীরুহ, রাত্রি জাগলে বিদ্যারত্ন, সন্ধে-ভোরে নেই জাগাজাগি
ফলের পতন হল, শ্রীজ্ঞান বৃক্ষের ফল, কত পরিশ্রমে ধরা, ধারে কাছে তার
পরিচয়। ফাঁস করবার ব্যক্তি নেই কেউ, কী হবে গো, দ্যাখোই না, ওই ওই,
ঠিক যা যা ভয়
করছি, তা-ই হল, ইস্‌, হে আদম শেষে কিন,
ঝোপ থেকে বেরিয়ে সব ভিন্ন, লোভী, রুগ্ন, ছ্যাঁচড়া, রাগী
শেয়াল কুকুর হায়না বিল্লি বুলডগ বেজি ফ্যাঁ-ফিঁ-খেউ-হ্যাঁক শব্দে
করছে ওই ফল ভাগাভাগি…