তিনটে লম্বা পেঁপেগাছ

তিনটে লম্বা পেঁপেগাছ পাঁচিলের সীমান্তে দাঁড়ানো
পাঁচিল, সে ভাঙা, তার ইট আধলা ঢাল দিয়ে নেমেছে পুকুরে
পুকুর, সেও তত মজা, তাকে ঘিরে ঝোপ জংলা বন
পুকুরের পরে রাস্তা উঁচু হয়ে বাজারে চলেছে তোক নিয়ে
বেশি নয়, একটা দুটো, ধুতি শার্ট, লুঙ্গি গেঞ্জি, সাইকেলে ঝোলা
কারো বেশি তাড়া নেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করে
গল্পের পিছনে মস্ত ভাঙা বাড়ি, হাড়গোড় ভাঙা জমিদারি
ফুটো করে গাছ বেরোনো, গর্ত করে বসে থাকা সাপ
তাদেরও পাঁচিলে ফুটো, ফুটো গলে আমরা খেলতে যাই
ভিতরে চৌকোনা মাঠ, সে মাঠেও পুরোনো মন্দির
কী বিগ্রহ ছিলো, কোন পুরোহিত, খোঁজ নেই কারো
ভাঙা পাঁচিলের পাশে পেঁপে পড়ে ধুপ করে গড়িয়ে যায় জলে
ঢাল বেয়ে ধরতে ছুটি মা দেখে ফেললে বকবে বলে
পা টিপে পা টিপে ছুট, কাচ ফুটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
ফেরা- আজ চৌকো ফ্ল্যাটে তারো বেশি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফিরে আমি
চরণ সাজাই ছন্দে, যে কবিতা ভেদ করে নামি তার
ভাঙা পাঁচিলের পাড় থেকে
সেই তিনটে পেঁপেগাছ ওই অত পিছন থেকে দ্যাখে
ঢালুতে গড়ানো ফল ধরতে আমি ছুটে যাচ্ছি
অন্ধকারে কাচ দেখে দেখে…