বসন্ত কি সহসা এ নির্জ্জন আবাসে
পশিয়াছ চুপি চুপি? নবীন পল্লবে
সাজিয়াছে তরুরাজি। ঝেড়ে দিলে কবে
পুরাতন জীর্ণপত্র? শীতল বাতাসে
বাতাবি ফুলের গন্ধ ধীরে ভেসে আসে
আমার গবাক্ষ পথে; ঘন কুহুরবে
মুখরিত আম্রবন,- বসন্তই হবে।
উদ্যান উজ্জ্বল শত শ্বেত পুষ্প হাসে।
আজিও ধরণী মোরে রেখেছে ধরিয়া
তার স্বর্ণ কারাগারে। বর্ণ গন্ধ গানে,
রসে স্পর্শে দিতে চাহে দেহে আর চিতে
নব প্রাণ, কিন্তু হায় নিঃশেষে ভরিয়া
কই দিতে পারে, মধু? দূরে কোন্খানে
থাকে অদেহীরা, বঁধু, পার বলে দিতে?
এপ্রিল, ১৯১৫।