কোমল মায়ের বুকে হানিতেছ অসি
ঘন ঘন। তীক্ষ্ণ, তীব্র, নীরব আঘাত
কত যে বেদনা দেয়, অন্তর্যামী নাথ,
দেখনা কি নিশিদিন অন্তরেতে বসি?
আছ যবে এত কাছে, তব মাঝে পশি
তোমারে ব্যথেনা ইহা? রোষে রক্তপাত
করে যে নৃশংস নর, জেগে অকস্মাৎ,
চমকে তাহারো বুক, অস্ত্র পড়ে খসি।
হে নিষ্ঠুর, হস্ত তব স্বেচ্ছায় কঠোর।
গড়েছ মায়ের হিয়া যে মমতা দিয়া
কোথা সে মমতা-খনি? যদি তার স্থান
গভীরে তোমারি মাঝে, এ রহস্য ঘোর
বুঝিনা তো। শুধু নাহি ভাঙ্গিছ গড়িয়া,
ব্যথা দেবে বলে’ দেছ সচেতন প্রাণ।
কলিকাতা
ফেব্রুয়ারী, ১৯২৭।