পিসীমা আমার


পিসিমা আমার!
কোথায় গেলি গো তুই ত্যজিয়া আমারে!
হায়রে এ হৃদি তলে
ভীষণ অনল জেলে
ডুবাইয়ে এ পরাণ ঘোর হাহাকারে!


সারাটা জীবন তুই কাঁদিয়া কাঁদিয়া
অনাহারে অনাদরে
কত কষ্ট সহ্য ক’রে
অবহেলে এ জীবন দিলি কাটাইয়া!


জন্মেছিলি তুই বুঝি সহিতে যাতনা,
জন্মিয়া সুতিকা ঘরে
যদিগো যেতিস মেরে
হতনা সহিতে তোরে এ ঘোর লাঞ্ছনা!


পিসীমা আমার!-
কত পত্রে, কত ছত্রে করুণ ভাষায়,
কাতরে মিনতি ক’রে
এক মুষ্টি অন্ন তরে
কত কেঁদেছিলি, আমি শুনি নাই হায়!


শুনি নাই হায় তোর সে দীর্ঘ নিশ্বাস,
পর গৃহে, উপবাসে
পড়ি মৃত্যু-শয্যা-পাশে
কেঁদেছিলি যবে, তুই হইয়া নিরাশ!


কে জানিত তোর ভাগ্যে ঘটিবে এমন,
পর গৃহে, পর পাশে
হায় ভিখারিণী বেশে
অনাহারে অযতনে হারাবি জীবন!