আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায়

আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদী।
খুলে দাও রঙ-মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।।

গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্-বাগিচায় পাঠালে লিপি,
দেখে তাই ডাকছে ডালে কু কু বলে কোয়েলা ননদী।।

পাঠালে ঘূর্ণি-দূতী ঝড়-কপোতী বৈশাখে সখি,
বরষায় সেই ভরসায় মোর পানে চায় জল-ভরা নদী।।

তোমারি অশ্রু ঝলে শিউলি-তলে সিক্ত শরতে,
হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙে দাও দ্বার যদি রোধি।।

পউষের শূন্য মাঠে একলা বাটে চাও বিরহিণী,
দুঁহু হায় চাই বিষাদে, মধ্যে কাঁদে তৃষ্ণা-জলধি।।

ভিড়ে যা ভোর-বাতাসে ফুল-সুবাসে রে ভোমর কবি,
ঊষসীর শিশ-মহলে আস্তে যদি চাস্ নিরবধি।।

[জৌনপূরী-আশাবরী-কাহার্বা]