চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়।
আজিকে যে রাজাধিরাজ কাল সে ভিক্ষা চায়।।
অবতার শ্রীরামচন্দ্র যে জানকীর পতি
তারও হলো বনবাস রাবণ-করে দুর্গতি।
আগুনেও পুড়িল না ললাটের লেখা হায়।।
স্বামী পঞ্চ পাণ্ডব, সখা কৃষ্ণ ভগবান,
দুঃশাসন করে তবু দ্রৌপদীর অপমান।
পুত্র তার হল হত যদুপতি যার সহায়।।
মহারাজ হরিশচন্দ্র, রাজ্য দান করে শেষ
শ্মশান-রক্ষী হয়ে লভিল চণ্ডাল বেশ।
বিষ্ণু-বুকে চরণ-চিহ্ন, ললাট-লেখা কে খণ্ডায়।।
[ভজন, মান্দ- কার্ফা]
(বনগীতি গ্রন্থের প্রথম খণ্ড হতে সংগৃহীত)