চলে কুসমী শাড়ি পরি বসন্তের পরী

চলে কুসমী শাড়ি পরি বসন্তের পরী
নবীনা কিশোরী হেসে হেসে।
হেলিয়া দুলিয়া সমীরণে ভেসে ভেসে।।

রঙ্গিলা রঙ্গে নৃত্য-ভঙ্গে
চলিছে চপলা এলোকেশে।
পাপিয়া ‘পিয়া পিয়া’ ডাকে শাখে
তাহারে ভালোবেসে।।

মদির চপল বায় অঞ্চল উড়ে যায়
সে বৈকালী সুর যেন চৈতী বেলাশেষে।।

মনে সে নেশা লাগায়
বনে সে আঁখির ইঙ্গিতে ফুল ফোটায়
বেণুবনে তারি বাঁশী বাজে।
তারি নাম গুঞ্জরে বনে ভ্রমর
তার ঝিরঝির মিরমির বাজে মঞ্জীর
নাচের আবেশে
তার ঝুমুর ঝুমুর নূপুর ধ্বনি
হাওয়াতে মেশে।।

(৬৪)