দহন-মালা

হায় অভাগী! আমায় দেবে তোমার মোহন মালা?
বদল দিয়ে মালা, নেবে আমার দহন-জ্বালা?
কোন ঘরে আজ প্রদীপ জ্বেলে
ঘর-ছাড়াকে সাধতে এলে
গগন-ঘন শান্তি মেলে, হায়!
দু’হাত পুরে আনলে ও কি সোহাগ-ক্ষীরের থালা
আহা দুখের বরণ ডালা?
পথ-হারা এই লক্ষ্মীছাড়ার
পথের ব্যথা পারবে নিতে? করবে বহন, বালা?

লক্ষ্মীমণি! তোমার দিকে চাইতে আমি নারি,
দু’চোখ আমার নয়ন জলে পুরে,
বুক ফেটে যায় তবু এ-হার ছিঁড়তে নাহি পারি,
ব্যথাও দিতে নারি, নারী! তাই যেতে চাই দূরে।

ডাকতে তোমায় প্রিয়তমা
দু’হাত জুড়ে চাইছি ক্ষমা,
চাইছি ক্ষমা চাইছি ক্ষমা গো!
নয়ন-বাঁশির চাওয়ার সুরে
বনের হরিণ বাঁধবে বৃথা লক্ষ্মী গহন-বালা।
কল্যাণী! হায় কেম্‌নে তোমায় দেব
যে-বিষ পান করেছি নীলের নয়ন-গালা।।

[কলিকাতা
চৈত্র ১৩২৭]

কবিতাটি নারায়ণ পত্রিকার বৈশাখ ১৩২৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। শিরোনাম ছিল দহন-মালা। পৃষ্ঠা: ৬৬২।