একে একে সব মেরেছিস জাতটা শুধু ছিল বাকি।
টিকি ধরে টানিস তোরা, তারেও এবার মারবি নাকি।।
ভাতের হাঁড়ি হুঁকোর জলে কোনোরূপে শাস্ত্র-বুড়ো
জাত বাঁচিয়ে লুকিয়ে আছে, তারেও বাবা দিসনে হুড়ো।
এক কোণে সে পড়ে আছে ছোঁয়াছুঁয়ির কাঁথা ঢাকি।।
জবু-থবু জাতকে নিয়ে এ তো দেখি বিষম ল্যাঠা,
পথ চল্তে গেলেই দেখি শূদ্র অজাত বেজাত ঠ্যাঁটা,
মেথর চাঁড়াল ডোম হাড়ি সব মাল নিয়ে যায় কাঁচি পাকি।।
গোরুর গাড়ি চড়তে গিয়ে দেখি শূদ্র চালায় গাড়ি,
হুঁকোতে টান দিতে গিয়ে জল ফেলে দিই তাড়াতাড়ি।
রেলগাড়িতে বামুন শূদ্রে মাছে শাকে মাখামাখি।।
মেথরানিটা বললে, ‘বাবু, জাত জানো কি তোমার মায়ের?
পাঁচ ছেলের সে ময়লা ফেলে, আমি ফেলি লক্ষ ছেলের!
স্নান করে সে ঠাকুর পূজে, আমার বেলায় জাতের ফাঁকি।।’
ছোঁওয়া-ছুঁয়ি বাঁচিয়ে বাঁচি ভূ-ভারতে কেমন করে,
অব্রাহ্মণ ম্লেচ্ছ চাঁড়াল আষ্টেপিষ্ঠে আছে ভরে,
এমন করে কদিন চালাই জাতের ছেঁড়া কাপড় টাঁকি।।
[জাতের জাঁতিকল]