এত জল ও-কাজল চোখে
পাষানী, আনলে বলো কে।
টলমল জল-মোতির মালা
দুলিছে ঝালর-পলকে।।
দিল কি পূব্-হাওয়াতে দোল্,
বুকে কি বিঁধিল কেয়া?
কাঁদিয়া কুটিলে গগন
এলায়ে ঝামর-অলকে।।
চলিতে পৈঁচি কি হাতের
বাঁধিল বৈচি-কাঁটাতে?
ছাড়াতে কাঁচুলির কাঁটা
বিঁধিল হিয়ার ফলকে।।
যে দিনে মোর দেওা-মালা
ছিঁড়িলে আনমনে সখি,
জড়াল জুই-কুসুমি-হার
বেণীতে সেদিন ওলো কে।।
যে-পথে নীর ভরণে যাও
বসে রই সেই পথ-পাশে,
দেখি, নিত্ কার পানে চাহি
কলসির সলিল ছলকে।।
মুকুলী মন সেধে সেধে
কেবলি ফিরিনু কেঁদে,
সরসীর ঢেউ পলায় ছুটি’
না ছুঁতেই নলিন্-নোলকে।।
বুকে তোর সাত সাগরের জল,
পিপাসা মিট্ল না কবি,
ফটিক-জল! জল খুঁজিস যেথায়
কেবলি তড়িৎ ঝলকে।।
[মান্দ- কাওয়ালি]