হে বিধাতা! দুঃখ শোক মাঝে তোমারই পরশ রাজে

হে বিধাতা!
দুঃখ-শোক মাঝে তোমারই পরশ রাজে,
কাঁদায়ে জননী-প্রায় কোলে কর পুনরায়,
শান্তি-দাতা,
হে বিধাতা।।

ভুলিয়া যাই হে যবে সুখ-দিনে তোমারে
স্মরণ করায়ে দাও আঘাতের মাঝারে।
দুঃখের মাঝে তাই হে প্রভু তোমারে পাই
দুঃখ-ত্রাতা,
হে বিধাতা।।

দারা-সুত-পরিজন-রূপে প্রভু অনুখন
তোমার আমার মাঝে আড়াল করে সৃজন;
তুমি যবে চাহ মোরে লও হে তাদের হরে
ছিঁড়ে দিয়ে মায়া-ডোরে ক্রোড়ে ধর আপন।
ভক্ত সে প্রহ্লাদ ডাকে যবে নারায়ণ
নির্মম হয়ে তার পিতারও হর জীবন,
সব যবে ছেড়ে যায় দেখি তব বুকে হায়
আসন পাতা।
হে বিধাতা।।

[ভজন, মেঘ-তেতালা]
(বনগীতি গ্রন্থের প্রথম খণ্ড হতে সংগৃহীত)