হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে-শরণ দাও হে

হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে-শরণ দাও হে।
বিফল জনম কাটিল কাঁদিয়া, শান্তি নাহি কোথাও হে।।

জীবন-প্রভাত কাটিল খেলায়,
দুপুর ফুরাল মোহের মেলায়,
ডাকিব যে নাথ সন্ধ্যা-বেলায়
ডাকিতে পারিনি তাও হে।।

এসেছি দুঃখ-জীর্ণ পথিক মৃত্যু-গহন রাতে
কিছু নাই প্রভু সম্বল, শুধু জল আছে আঁখি-পাতে।
সন্তান তব বিপথগামী
ফিরিয়া এসেছে হে জীবন-স্বামী
পাপী-তাপী তবু সন্তান আমি
ধুলা মুছে কোলে নাও হে।।

[বেহাগ-একতালা]


(বনগীতি গ্রন্থের প্রথম খণ্ড হতে সংগৃহীত)