যায় ঢুলে ঢুলে এলোচুলে
কে বিষাদিনী।
তার চোখে চেয়ে ম্লান হয়ে
যায় গো চাঁদিনী।।
তার সোনার অঙ্গ অনাদরে
হয়েছে কালি,
হায় ধুলায় লুটায় নবীন যৌবন
ফুলের ডালি,
কোন মদির আঁখির খেয়েছে তীর
বন-হরিণী।।
তার চটুল চরণ নাচত যেন
নোটন-কপোতী,
মরুর বুকে ফুল ফোটাত
তার দোদুল গতি,
আজ ধীরে সে যায় যেন শীতের
মৃদুল তটিনী।।
[কাফি-ঝাঁপতাল]
(বনগীতি গ্রন্থের প্রথম খণ্ড হতে সংগৃহীত)