কে বিদেশি বন-উদাসী
বাঁশের বাঁশী বাজাও বনে।
সুর-সোহাগে তন্দ্রা লাগে
কুসুম-বাগের গুল-বদনে।।
ঝিমিয়ে আসে ভোমরা-পাখা,
যুথীর চোখে আবেশ মাখা,
কাতর ঘুমে চাঁদিমা রাকা
(ভোর গগনের দর-দালানে)
দর-দালানে ভোর-গগনে।।
লজ্জাবতীর লুলিত লতায়
শিহর লাগে পুলক-ব্যথায়,
মালিকা সম বঁধুরে জড়ায়
বালিকা-বঁধু সুখ-স্বপনে।।
সহজা জাগি আধেক রাতে
শুনি সে বাঁশি বাজে হিয়াতে,
বাহু-শিথানে কেন কে জানে
কাঁদে গো পিয়া বাঁশির সনে।।
বৃথাই গাঁথি, কথার মালা
লুকাস কবি বুকের জ্বালা,
কাঁদে নিরালা বন্শীওয়ালা
তোরি উতলা বিরহী মনে।।
[ভৈরবী-আশাবরী-কাহার্বা]