কেমনে রাখি আঁখি-বারি চাপিয়া

কেমনে রাখি
আঁখি-বারি চাপিয়া।
প্রাতে কোকিল কাঁদে,
নিশীথে পাপিয়া।।

এ ভরা ভাদরে
আমার মরা নদী,
উথলি উথলি
উঠিছে নিরবধি।

আমার এ ভাঙা ঘটে
আমার এ হৃদিতটে
চাপিতে গেলে ওঠে
দু’কূল ছাপিয়া।।

নিষেধ নাহি মানে
আমার এ পোড়া আঁখি,
জল লুকাবো কত
কাজল মাখি মাখি।

ছলনা করে হাসি
অমনি জলে ভাসি,
ছলিতে গিয়া আসি
ভয়েতে কাঁপিয়া।।

গাঁথিতে ফুলমালা
বিধে সে কাঁটা হয়ে,
কাঁটার হার গাঁথি-
সে আসে ফুল লয়ে।

কবি রে, জলধি এ
তাহারে মন দিয়ে
গেলি রে জল নিয়ে
জীবন ব্যাপিয়া।।

[(রাতের) দূর্গা- আন্ধা কাওয়ালি]