মনে পড়ে আজও সেই নারিকেল কুঞ্জ গুবাক তরুর ঘন-কেয়ারি
বালুচর, বেত বন, দেখা হত দুইজন, মন হত উন্মন দোঁহারি।।
গাছ থেকে টুপটাপ ঝরিত কালো জাম,
জাম খেয়ে চুপচাপ মেঘ পানে চাহিতাম,
গাব নিয়ে কাড়াকাড়ি, ভাব হত, হত আড়ি দুজনে,
আমি ছিনু ধনিকের ছেলে গো।
ছিলে ভুঁইমালিদের তুমি ঝিয়ারি।।
ভুঁইমালিদের ঘরে ভুঁইচম্পার কলি ডুমা-পরা উমা-সম খেলিতে,
আমার দালান-ঘরে- দোতালায় কেন গো উতলা মনে ছায়া ফেলিতে!
সহসা হেরিনু তব বধূরূপ, ভাঙা চালা হাতে তব চালুনি,
পার্শ্বে দামাল ছেলে কাঁদিছে হেরিয়া পান্তভাত আলুনি।
ঘোমটা টানিয়া দিলে আমারে হেরিয়া,
উদাস চোখে এল কালো মেঘ ঘেরিয়া,
তারে চিনিতে কি পেরেছিলে প্রণাম যে করেছিল
কল্যাণী রূপ তব নেহারি’।।