মণি-মঞ্জীর বাজে অরুণিত চরণে সখি
রুনুঝুনু রুনুঝুনু মণি-মঞ্জীর বাজে।
হেরো গুঞ্জা-মালা গলে বনমালী চলিছে কুঞ্জ মাঝে।।
চলে নওল কিশোর,
হেলে-দুলে চলে নওল কিশোর।
হেরি সে লাবণি কৌস্তুভমণি নিষ্প্রভ হলো লাজে।
চরণ-নখরে শ্যামের আমার চাঁদের মালা বিরাজে।।
বঁধূর চলার পথে পরান পাতিয়া রবো
চলিতে দলিয়া যাবে শ্যাম,
আমি হইয়া পথের ধূলি বক্ষে লইব তুলি
চরণ-চিহ্ন অভিরাম।।
ভুলে যা তোরা রাধারে কৃষ্ণ-নিশির আঁধারে
হারায়ে সে গেছে চিরতরে,
কালো যমুনার জলে ডুবেছে সে অতল তলে
ভেসে গেছে সে শ্যাম সাগরে।।
ঐ বাঁশি বাজিছে শোন্ রাধা বলে
মোর তরুণ তমাল চলে, অঙ্গ-ভঙ্গে শিখি-পাখা টলে।
তার হাসিতে বিজলি
কাজল-মেঘে যেন উঠিছে উছলি।
রূপ দেখে যা দেখে যা,
কোটি চাঁদের জোছনা-চন্দন মেখে যা,
মোর শ্যামলে দেখে যা।।
[কীর্তন]