(ওরে) ও চাঁদ! উদয় হলি কেন জোছনা দিতে!
(দেয়) অনেক বেশি আলো আমার নবির পেশানীতে।।
(ওরে) রবি! আলোক দিস যতো তুই দগ্ধ করিস ততো,
আমার নবি স্নিগ্ন শীতল কোটি চাঁদের মতো,
(সে) নাশ করেছে মনের আঁধার ঈষৎ হাসিতে।।
(ওরে) আসমান! তুই সুনীল হলি জানি কেমন করে,
আমার নবির কালো চোখের একটু নীল হরে।
(ওরে) তারা! তোরা জ্যোতি পেলি নবির চাউনিতে।।
(ওরে) বসরা গোলব! অনেক বেশি খোশবু তোদের চেয়ে
সেই ধূলিতে মোর নবিজি যেতেন যে-পথ বেয়ে।
সেই বারতা ফুলকে শোনায় বুলবুলি সঙ্গীতে।।
(জুলফিকার গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ড হতে সংগৃহীত)