অনাদৃতা

ওরে অভিমানিনী!
এমন করে বিদায় নিবি ভুলেও জানিনি।

পথ ভুলে তুই আমার ঘরে দু’দিন এসেছিলি,
সকল-সহা! সকল সয়ে কেবল হেসেছিলি।
হেলায় বিদায় দিনু যারে
ভেবেছিনু ভুলব তারে, হায়!
ভোলা কি তা যায়?
ওরে হারা-মণি! এখন কাঁদি দিবস-যামিনী।।

অভাগীরে! হাসতে এসে কাঁদিয়ে গেলি,
নিজেও শেষে বিদায় নিলি কেঁদে,
ব্যথা দেওয়ার ছলে নিজেই সইলি ব্যথা রে,
বুকে সেই কথাটাই কাঁটার মতন বেঁধে!

যাবার দিনে গোপন ব্যথা বিদায়-বাঁশির সুরে
কইতে গিয়ে উঠল দু’চোখ নয়ন-জলে পুরে!
না কওয়া তোর সেই সে বাণী,
সেই হাসি-গান সেই মু’খানি, হায়!
আজো খুঁজি সকল ঠাঁই।
তোরে যাবার দিনে কেঁদে কেন ফিরিয়ে আনিনি?
ওরে অভিমানিনী।

[দৌলতপুর, কুমিল্লা
বৈশাখ ১৩২৮]