অতল পথের যাত্রী

-দূর প্রান্তর গিরি
অজানার মাঝে জানারে খুঁজিয়া ফিরি।
হৃদয়ে হৃদয়ে বেদনার শতদল
ঘিরিয়া রেখেছে অজানার পদতল।

পথের পথে ফিরি, সাথে ফেরে দিবানিশা,
কোথা তাঁর পথ- খুঁজে নাহি মেলে দিশা।
কাঁদিয়া বৃথাই আমার নয়ন-জল
সাগর হইয়া- করিতেছে টলমল।
সে সায়রে দুলে আমার অশ্রুমতী
আমার গানের বেদনা-সরস্বতী।
নিয়ত তাহারই মৌন কাঁদন ঝরে
আমার প্রাণের হাসির পান্না ‘পরে।

আমার অশ্রুমতীরে শুধাই মিছে,
বৃথাই ছুটিনু মোর অজানার পিছে।
উঠিছে পড়িছে ভাঙিছে জানার ঢেউ,
হেরিতেছে ঢেউ- সাগর হেরে না কেউ!
কূলে কূলে ফিরি, ঢেউয়ে ঢেউয়ে কাঁদি আমি,
অতল গভীরে টেনে লও মোরে স্বামি!
দেখিবে না ঢেউ, দেখিব সিন্ধুতল
যথা নাই ঢেউ- শুধু সে অতল জল।

[বঙ্গবাণী পত্রিকার কার্তিক ১৩৩৩ সংখ্যায় কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল।]