পাপড়ি খোলা

রেশমি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম-কথা
পথের মাঝে চমকে কে গো থমকে যায় ঐ শরম-নতা।।

কাঁখ-চুমা তার কলসি-ঠোঁটে
উল্লাসে জল উলসি ওঠে,
অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে
বায় যেন হায় নরম লতা।।

অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশী কে
হানলে দিঠি পিয়াস-জাগা পথবালা এই উর্বশীকে!

শূন্য তাহার কন্যা-হিয়া
ভরল বঁধূর বেদন নিয়া,
জাগিয়ে গেল পরদেশিয়া
বিধুর বঁধূর মধুর ব্যথা।।

[দৌলতপুর, কুমিল্লা
বৈশাখ ১৩২৮]