সাকি! বুল্‌বুলি কেন কাঁদে গুল্-বাগিচায়

কবির কাব্যশ্রী যাকে ঘিরে পুষ্পে বিভূষিত হয়ে ওঠে, সেই কবিতার দেবী কবির টলমল হৃদয়-কমলে টল্তে টল্তে গেয়ে ওঠেন-

সাকি! বুল্বুলি কেন কাঁদে গুল্-বাগিচায়।
ও কি মধু যাচে, কেন আসে না কাছে
অকরুণ পিয়াসে কেন মুখ-পানে চায়।।

সাকি! বুলবুলি কেন কাঁদে গুল-বাগিচায়।
ও কি মধু যাচে, কেন আসে না কাছে
অকরুণ পিয়াসে কেন মুখ-পানে চায়।।

ওর করুণ বিলাপ শুনি’ লতার গোলাপ আমি
ঝুরিয়া মরি।
আমি কাঁটা-লতায় বাধা কূলবধূ, হায়
যাই কেমন করি!
ও যে-শিরাজি মাগে, দিতে ভয় লাগে,
তাহ। সঞ্চিত থাক্ অন্তর-পেয়ালায়।।
কত চামেলি হেনা ওর আছে চেনা,
আমি কণ্টক-বিজড়িত গোলাপ-কলি,
মোর ডাক-নাম ধরে কেন ডাকে ঘুম-ঘোরে
ভিখারির বেশে চাহে প্রেমাঞ্জলি।
ও কি বুঝিতে পারে না মোর মৌন ভাষা,
রক্তিম হৃদয়ের ভালোবাসা,
ঝরার আগে সাকি ওরে আমি পাব না কি
শুধু ক্ষণিকের তরে তৃষিত হিয়ায়।।