সখি যায়নি তো শ্যাম মথুরায়

সখি যায়নি তো শ্যাম মথুরায়
আর আমি কাঁদব না সই।
সে-যে রয়েছে তেমনই ঘিরে আমায়।।

মোর অন্তরতম আছে অন্তরে
অন্তরালে সে যাবে কোথায়?
আছে ধেয়ানে স্বপনে জাগরণে মোর
নয়নের জলে আঁখি-তারায়।।

কে বলে সখি অন্ধকার এ বৃন্দাবনে কৃষ্ণ নাই,
তমাল কদম শ্যামপল্লবে হৃদি-বল্লভে দেখিতে পাই।
গোকুলে যে আজ কৃষ্ণপক্ষ
কে বলে সখি কৃষ্ণ নাই।
অন্য পক্ষে কী কাজ সখি
গোকুলে যে আজ কৃষ্ণপক্ষ,
দেখো কৃষ্ণেরই নাম লয় সবাই।
সখি গো-
আমি অন্তরে পেয়েছি লো, বাহিরে হারিয়ে তায়,
যাক না সে মথুরায়, যেথা তার প্রাণ চায়।।

শ্যামে হেরিয়াছি যমুনার কালো জলে, সাগরে,
আষাঢ়ের ঘন মেঘে হেরিয়াছি নাগরে।
হেরিয়াছি তারে শ্যাম-শস্যে হেমন্তে,
পীত-ধড়া হেরি তার কুসমি বসন্তে।
এঁকেছিলাম শ্যামের ছবি সেদিন সখি খেলার ছলে,
আঁকিনি লো চরণ তাহার, পালায়ে সে যাবে বলে।
আনিয়া দে আজ সে চিত্রপট
আঁকিব লো আজি চরণ তার,
সে যায়নি মথুরা কাঁদিস নে তোরা
আছে আছে শ্যাম হৃদে আমার।।

[কীর্তন]