সুরা আ’দিয়াত

শুরু করিলাম লয়ে নাম আল্লার,
কৃপা করুণার যিনি অপার পাথার।

বিদ্যুৎ-গতি দীর্ঘশ্বসা
(বীর-বাহী উটের শপথ)
যাহার চরণ-আঘাত উগারে
তপ্ত বহ্নি ফিন্‌কিবৎ।
প্রত্যুষে করে ধূলি উৎক্ষেপি
(শত্রু-শিবির) আক্রমণ,
অনন্তর সে (অরি) দলে পশে
(এই হেন করে বিলুন্ঠন)।
শপথ তাদের-নিঃসংশয়
অকৃতজ্ঞ মানবকুল
তাদের পালনকর্তা প্রভুর
পরে, নিশ্চয়, (নহে সে ভুল!)
আর সে নিজেই সাক্ষী ইহার
কঠিন বিষয়াসক্তি তার,
সে কি তা জানে না, কবর হইতে
উঠানো হইবে সবে আবার?
হৃদয় তাদের লুকানো যা-কিছু
প্রকাশ করাব সব সেদিন,
জানিবে তাদের (সকল গোপন)
কথা-‘রাব্বুল আলামিন’।


সুরা আ’দিয়াত

আ’দিয়াত- উটের পায়ের শব্দ।
রাব্বুল আলামিন- সর্ব-জগতের প্রভু।

এই সুরা মক্কা শরিফে নাজেল হইয়াছে। ইহাতে ১১টি আয়াত, ৪০টি শব্দ ও ১৭০টি অক্ষর আছে।

শানে-নজুল

হজরত (সাঃ) তাঁহার সহচর মোনজের-বেনে-আমরকে একদল অশ্বারোহীসহ ‘বণি-কানানা’ সম্প্রদায়কে আক্রমণ করিতে পাঠান এবং ফিরিয়া আসিবার দিন নির্দিষ্ট করিয়া দেন। পাথের এক স্থান জলপ্লাবিত থাকায় তাঁহাদের ফিরিয়া আসিতে বিলম্ব হয়। তখন কাফেরগণ উক্ত সৈন্য দল বিনষ্ট হইয়াছে বলিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় মুসলমানগণ দুঃখিত হয়। তাঁহাদিগকে সান্ত্বনা প্রদানের নিমিত্ত এই সুরা নাজেল হয়।