সুরা আ’লা

শুরু করিলাম লয়ে নাম আল্লার,
করুণা-নিধান যিনি দয়ার পাথার।

মহত্তম যা নাম প্রভুর,
বর্ণনা করো পবিত্রতা তার,
সৃজন করিয়া যিনি পূর্ণতা
দানিয়াছেন তায় আবার।
উচিত ধর্মে নিয়ন্ত্রণ
করিয়া তিনিই দেখান পথ,
সৃজিয়া তৃণাদি তারে আবার
করেন কৃষ্ণ ভস্মবৎ।
আমি তোমা পড়াইব কোরান,
বিস্মৃত তাই হবে না আর,
তবে আল্লাহ্ জানেন সব
প্রকাশ গোপন সব ব্যাপার।
তোমার তরে সে কল্যাণের
পথেরে সহজ দিব করে,
অতএব উপদেশ বিলাও
যদি সে সুফল হয়, ওরে!
উপদেশ তব লবে ত্বরায়
সেই জন আছে যাহার ভয়,
অতিশয় হতভাগ্য যে
তাহা হতে দূরে সরিয়া রয়,
দোজখের মহাঅনল মাঝ
করিবে প্রবেশ সেই সে জন
বাঁচিবেও না সে (শান্তিতে)
হবে না সেথায় তার মরণ।
সেই জন হয় সফলকাম
অন্তঃকরণ পবিত্র যার,
নামাজ পড়ে যে, করি স্মরণ
নাম সে দয়াল প্রভুর তার।
পছন্দ সে করিল হায়
পার্থিব এই জীবনকেই
উত্তম আর অবিনাশী
জীবন যা পাবে পরকালেই।
নিশ্চয় পূর্বের সকল
কেতাবেই আছে তা বিদ্যমান,
বিশেষ করিয়া ইব্‌রাহিম,
মুসার কেতাব তার প্রমাণ।


সুরা আ’লা

আ’লা- মহত্তম।

এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হয়। ইহাতে ১৯টি আয়াত, ৭২টি শব্দ ও ২৯৯টি অক্ষর আছে।

শানে-নজুল

যখন হজরতের প্রতি সুদীর্ঘ সুরাসমূহ নাজেল হইতে থাকে এবং তিনি অসংখ্য তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিতে থাকেন, তখন তাঁহার মনে এই চিন্তা উপস্থিত হয় যে, আমি কোনো শিক্ষকের নিকট লেখাপড়া শিখি নাই, এমতাবস্থায় এত অধিক সংখ্যক শব্দ ও সূক্ষ্ম মর্ম আয়ত্ত করা ও স্মরণ রাখা সম্ভব হইবে না, হয়তো ইহার অধিকাংশ বিলুপ্ত হইয়া যাইতে পারে। তাঁহাকে সান্ত্বনা প্রদানার্থ এই সুরা অবতীর্ণ হয়-‘খোদাই আপনার শিক্ষাদাতা, আপনি উহা ভুলিবার কল্পনাও করিবেন না।’