সুরা ফাতেহা

(শুরু করিলাম) লয়ে নাম আল্লার,
করুণা ও দয়া যাঁর অশেষ অপার।

সকলি বিশ্বের স্বামী আল্লার মহিমা,
করুণা কৃপার যাঁর নাই নাই সীমা।
বিচার-দিনের বিভু! কেবল তোমারি
আরাধনা করি আর শক্তি ভিক্ষা করি।
সহজ সরল পথে মোদেরে চালাও,
যাদেরে বিলাও দয়া সে পথ দেখাও।
অভিশপ্ত আর পথ-ভ্রষ্ট যারা, প্রভু,
তাহাদের পথে যেন চালায়ো না কভু!


সুরা ফাতেহা

সুরা- শ্লোক।
ফাতেহা- উদ্‌ঘাটিকা।

এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হইয়াছে। ইহাতে ৭টি আয়াত, ২৫টি শব্দ, ১২৩টি অক্ষর ও ১টি রুকু। ইহার অপর নাম ‘সাবাউল মাসানী’। ‘সাবা’ অর্থ সাত; ‘মাসানী’ অর্থ পুনঃপুন।

ফাতেহা-উদ্ঘাটিকা। এই ‘সুরা’ দিয়াই পবিত্র কোর-আন শরিফের আরম্ভ। এইজন্য এই সুরার নাম ‘ফাতেহা’। ইহা কোর-আনের শেষ খণ্ড আমপারায় নাই, ইহা কোর-আন শরিফের প্রথম খণ্ডের প্রথম ‘সুরা’। নামাজ, বন্দেগী, প্রার্থনা প্রভৃতি সকল পবিত্র কাজেই সুরা ফাতেহার প্রয়োজন হয় বলিয়া আমপারার সঙ্গে ইহার অনুবাদ দেওয়া হইল।

শানে-নজুল

(অবতীর্ণ হইবার কারণ)-একদা হজরত মোহাম্মদ (দঃ) মক্কার প্রান্তর অতিক্রম করিবার সময় দৈববাণী শুনিতে পাইলেন, মোহাম্মদ! আমি স্বর্গীয় দূত জেব্রাইল, আপনি পয়গম্বর, আমি শপথ করিতেছি-আল্লাহ্ ভিন্ন আর কোন উপাস্য নাই, মোহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রসুল (তত্ত্ববাহক)। আপনি বলুন, আলহামদোলিল্লাহ্- সকল প্রশংসাই বিশ্বপতি আল্লার, ইত্যাদি।
(-তফসীরে আজিজী ও তফসীরে মাজহারী)